ইন্টারফেস পরিচিতিঃ অটোক্যাড ট্রেনিং লেকচার-১

অটো ক্যাড (Auto CAD) হলো বিশ্বসমাদৃত একটি পাওয়ারফুল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন সফটওয়্যার। ১৯৮০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Autodesk Inc. Auto CAD তৈরি করেন। যেকোন স্কেলিং ড্রইং এর ক্ষেত্রে অটো ক্যাড এর কোন বিকল্প নেই। অটো ক্যাড এর নতুন নতুন কমান্ড ও টুলস্‌ সম্পূর্ণরূপে ইউজার ফ্রেন্ডলি। অটো ক্যাড এর সাহায্যে সাধারণ ড্রইং ছাড়াও ডিজাইন, ব্লক, সিম্বল, লোগো ডিজাইন, গ্রিল ডিজাইন, এমব্রডারী ডিজাইন করা যায়। অটো ক্যাড সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট প্লানার, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাফিক্স ইঞ্জিনিয়ার, এমব্রডায়রি ডিজাইনার সহজেই তাদের সুবিধামত ড্রইং করতে পারেন।
অটো ক্যাড মূলতঃ বিভিন্ন জ্যামিতিক বা গ্রাফিক্যাল অবজেক্ট এর সমন্বয়। যেমনঃ রেখা, বৃত্তচাপ, বৃত্ত, টেক্সট বা লেখা। এছাড়াও ব্লক বা গ্রুপ অবজেক্ট আনুষঙ্গিক অবজেক্ট প্রপার্টিজ যেমনঃ কালার, লেয়ার, লাইন টাইপ আ্যাট্রিবিউট ইত্যাদি ব্যবহার করে সাচ্ছন্দে ড্রইং করা যায়। সাধারণ ড্রইং সীটে যে ড্রইং করা হয় এবং অটো ক্যাড এডিটরে যে ড্রইং করা তার কার্যপ্রনালী কিছুটা ভিন্ন তবে সুবিধা অনেক বেশি।
অটো ক্যাড  এর কাজ হলো দ্বিমাত্রিক অবজেক্ট নিয়ে। এখানে টু-ডি ও থ্রি-ডি উভয় ধরনের অবজেক্ট তৈরি করা যায়। তবে টু-ডি অবজেক্ট তৈরি করে পরবর্তীতে একে থ্রিডি তে রূপান্তরিত করা যায়। অটো ক্যাড এ তৈরিকৃত ডিজাইনকে থ্রিডিতে রূপান্তর করার 3D Studio Max , Maya ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের থ্রিডি প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়। আবার অটো ক্যাড এ সরাসরি থ্রিডি ডিজাইন তৈরি করা যায়। Auto CAD এ থ্রিডি অপেক্ষা টু-ডিতে কাজ করা সহজ। অটো ক্যাড এ আমরা যা কিছুই ড্রইং বা ডিজাইন করি না কেন এর ইন্টারফেস সর্ম্পকে ধারণা অর্জন করা প্রয়োজন। অটো ক্যাড এর বিভিন্ন প্যাকেজ বর্তমানে বাজারে আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও সুবিধাজনক প্যাকেজ হলো Auto CAD 2004|

ইন্টারফেস বা ড্রইং স্ক্রীন পরিচিতিঃ

অটো ক্যাড সফটওয়্যারটি রান করলে কম্পিউটারের মনিটরের পর্দায় যে উইন্ডোটি চলে আসে সেটিই অটো ক্যাড এর ইন্টারফেস। নিচে Auto CAD 2004 এর ইন্টারফেস দেখানো হলো:::
অটো ক্যাড এর ইন্টারফেস বা ড্রইং স্ক্রীনে যে অংশ গুলো পাওয়া যায় এগুলো হলোঃ
Title Bar, Menu Bar, Standard Tool Bar, Object Properties Tool Bar, Draw Tool Bar, Modify Tool Bar, Drawing Editor, User Co-ordinate System বা UCS Icon, status Bar, Command Window ইত্যাদি।
নিচে অটোক্যাড ড্রইং স্ক্রীন এর উল্লিখিত অংশ সমূহের বর্ণনা দেওয়া হলোঃ
Title Bar: অটোক্যাড গ্রাফিক্স উইন্ডোর উপরের নীল রংয়ের বারটিকে বলা হয় টাইটেল বার। এই বারটিতে ড্রইং ফাইলের নাম প্রদর্শিত হয়। টাইটেল বারের সর্ব বামে অটোক্যাড লোগো থাকে।
Menu Bar: টাইটেল বারের নিচের বারটিকে বলা হয় Menu Bar| Menu Bar এ ড্রপ ডাউন Menu রয়েছে। যেমনঃ File, Edit, Insert, Format, Tools, Draw, Dimension, Modify ইত্যাদি Menu থাকে।
Standard Tool Bar : Menu Bar এর নিচের বারটিকে বলা হয় Standard Tool Bar । Standard Tool Bar এ আইকন আকারে সাধারণ প্রয়োজনীয় কমান্ড বাটন রয়েছে। Standard Tool Bar এ কোন আইকনে ক্লিক করে উক্ত কমান্ড কার্যকরী করা হয়।
Object Properties Tool Bar: Standard Tool Bar টির ঠিক নিচের বারটি হলো Object Properties Tool Bar| এই টুলবার এ কয়েকটি ড্রপডাউন লিস্ট আছে। বিভিন্ন লেয়ার এই টুলবার থেকে কন্ট্রোল করা যায়।
Draw Tool Bar : Auto CAD এ ড্রইং করার জন্য অতি প্রয়োজনীয় কমান্ড সমূহ Draw টুল বারে দেওয়া থাকে। Draw টুলবারটি গ্রাফিক্স উইন্ডোর বাম পাশে থাকে। এই টুলবারের টুল গুলো  আইকন আকারে থাকে।
Drawing Editor:  গ্রাফিক্স উইন্ডোর মাঝের খালি স্ক্রিনকে কে Drawing Editor বলা হয়। প্রয়োজনীয় ড্রইং এর কাজ এই এডিটরে করা হয়। ডিফল্ট অবস্থায় এই স্ক্রিন এর রং কালো থাকে।
Command Window:  ড্রইং স্ক্রিনের নিচের দিকে থাকে কমান্ড উইন্ডো। কমান্ড উইন্ডোতে কোন কমান্ড লিখে কীবোর্ড হতে এন্টার কী প্রেস করার মাধ্যমে কমান্ডকে কার্যকরী করা হয়। অটোক্যাডে ব্যবহৃত কমান্ড সমূহের কিছু সংক্ষিপ্ত রূপ আছে। যেমনঃ লাইন কমান্ডকে অ্যাকটিভ করার জন্য আমরা Draw Tool Bar থেকে Line টুলটি সিলেক্ট করে এটি করতে পারি। এটি যদি কমান্ড উইন্ডোর মাধ্যমে করতে চাই তাহলে কমান্ড উইন্ডোতে কীবোর্ড থেকে L কী এবং এন্টার কী প্রেস করতে হবে। কমান্ডের এই সংক্ষিপ্ত রূপ গুলো মনে রাখা খুবই সহজ।
UCS Icon: User Co-Ordinate system এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো UCS. এই আইকনটি ড্রইং এডিটরের নিচে বাম কর্ণারে প্রদর্শিত হয়। ডিফল্ট অবস্থায় দ্বি-মাত্রিক বা টু-ডি টপভিউ UCS Icon থাকে।
Status Bart কমান্ড উইন্ডোর নিচের বারটি হচ্ছে Status Bar বার। Status Bar এ আইকনের অবস্থান জানা যায়। আইকনের Status Bar এ Snap, Grid, Ortho, Polar, Osnap, Otrack, LWT, Model ইত্যাদি বাটন থাকে। যেকোন বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে এই কমান্ড গুলো কার্যকারিতা on/off করা যায়।
এই অপশন গুলো হলো অটোক্যাডে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অপশন। আগামীতে আরও কিছু অপশনের বর্ণনা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। সে পর্যন্ত ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Menu পরিচিতিঃ অটোক্যাড ট্রেনিং লেকচার-২

কোন একটি প্রোগ্রাম নিয়ে ভাল ভাবে কাজ করতে এবং পূর্ণজ্ঞান অর্জনের জন্য সেই প্রোগ্রামের মেনু সম্পর্কে ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি। মেনু সম্পর্কে ধারণা না থাকলে কোন কাজ বা কমান্ডের প্রয়োগ দ্রুত করা যায় না। এই আসরে আপনাদের সামনে অটোক্যাডের মেনু গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
ফাইল মেনু
অটোক্যাডের প্রথম মেনু হচ্ছে ফাইল মেনু। মেনু বার হতে File নামের উপর মাউস পয়েন্টার দিয়ে একটি ক্লিক করলে অথবা কীবোর্ড থেকে Alt + F কী দ্বয় একত্রে চাপলে ফাইল মেনুটি ওপেন হবে এবং এর বিভিন্ন অপশন দেখা যাবে। নিচে ফাইল মেনুর বিভিন্ন অপশন এর ছবি দেখানো হলো-
এবার আলোচনা করবো ফাইল মেনুর বিভিন্ন অপশন নিয়ে।
New : এই অপশনটি সিলেক্ট করার মাধ্যমে নতুন একটি ড্রইং ফাইল বা ডকুমেন্টস তৈরি করা য়ায়। এর একটি কীবোর্ড শর্টকাট কমান্ড আছে । কমান্ডটি হলো Ctrl + N । কীবোর্ড থেকে Ctrl এবং N কীদ্বয় একত্রে চাপলে এই অপারেশনটি সম্পন্ন করা যায়।
Open : এই অপশনটি সিলেক্ট করে পূর্বে সেভ করা কোন ফাইল ওপেন করা যায়। কীবোর্ড থেকে Ctrl + O কী দুইটি এক সাথে চেপেও এই কমান্ডটি প্রয়োগ করা যায়। এই কমান্ডটি প্রয়োগ করলে নিচের ছবির মতো Select File নামে একটি উইন্ডো আসবে।
Look in বক্সে ডিরেক্টরী এবং ফাইল সিলেক্ট করে Open বাটনে ক্লিক করলে ফাইলটি স্ক্রিনে দেখা যাবে।
Close : বর্তমানে ওপেন করা কোন ফাইল বন্ধ করার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়। এই অপশনটি সিলেক্ট করার পূর্বে উক্ত ফাইলটি যদি সেভ করা না হয়ে থাকে তবে ফাইলটি সেভ করা হবে কিনা এমন একটি সতর্কমূলক মেসেজ প্রদর্শিত হবে।
যদি সেভ করতে চান তবে Yes বাটনে ক্লিক করুন। আর সেভ করে বের হয়ে যেতে চাইলে No বাটনে ক্লিক করুন। Cancel বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে কমান্ডটি বাতিল করতে পারবেন।
Partial Load : এই অপশনটি সিলেক্ট করে আংশিক ওপেন করা কোন ড্রইং ফাইলে Additional Geometry Load করা যায়।
Save: এই অপশনটি সিলেক্ট করে নতুন কোন ফাইল সংরক্ষন বা সেভ করা হয়। কীবোর্ড থেকে Ctrl এবং S কীদ্বয় একত্রে চেপে এই কমান্ডটি প্রয়োগ করা যায়। পুরাতন কোন ফাইল এডিট বা মডিফাই করার পর সেভ করার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Save As : এই অপশনটি ব্যবহার করে নতুন কোন ফাইল সংরক্ষন করা যায় এবং পূর্বের তৈরি করা কোন ফাইল এর ডিরেক্টরী ও নাম পরিবর্তন করা যায়। Ctrl + Shift + S কী তিনটি একসাথে চেপে এই কমান্ডটি কার্যকর করা যায়।
Export : এই অপশনটির মাধ্যমে অটোক্যাডের কোন ফাইল বা অবজেক্টকে অন্য কোন প্রোগ্রামের জন্য ব্যবহার উপযোগী ফরম্যাট এ রূপান্তর করা যায়। এখানে যে সকল ফরম্যাটে এক্সপোট করা যায় এগুলো হলো – Metafile (*.wmf), ACIS (*.sat), Lithography (*.stl), Encapsulated (*.eps) DXX Extarct (*.dxx) Bitmap (*.bmp), 3D Studio (*.3ds), Block (*dwg).
এই কমান্ড প্রয়োগ করলে নিচের ছবির মতো একটি উইন্ডো আসবে।
এখান থেকে প্রয়োজনীয় ফাইল টাইপ সিলেক্ট করুন এবং নির্দিষ্ট ডিরেক্টরী সিলেক্ট করে Save বাটনে ক্লিক করুন।
Page Setup ঃ কোন ফাইল বা ফাইলের অংশ বিশেষ প্রিন্ট করার পূর্বে Page Setup করে নিতে হয়। Page Setup ডায়ালগ বক্সে Plot Device ও Layout Settings নামক দুইটি ট্যাব থাকে। Plot Device ট্যাব থেকে প্রিন্টার বা প্লটার সিলেক্ট করা হয়। Layout Settings ট্যাবে কাগজের আকার, একক, ড্রইং অরিয়েন্টেশন, প্লট স্কেল, প্লট অফসেট ইত্যাদি নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়।
Plotter Manager: এই অপশনের মাধ্যমে প্লটার যুক্ত করা যায় এবং কনফিগার করা হয়।
Plot Preview: কোন ড্রইং প্রিন্ট করলে কেমন হবে তা প্রিন্ট করার পূর্বেই দেখা হয় এ অপশনের মাধ্যমে।
Drawing Utilities: কোন ড্রইং এর ত্রুটি নির্ণয়ের জন্য এই অপশনটি ব্যবহৃত হয়। নষ্ট কোন ফাইল রিকভার করার জন্য এবং ড্রইং এর বিভিন্ন লেয়ার ও লেয়ার স্টাইল রিমুভ করার ক্ষেত্রেও এই অপশনটি প্রয়োগ করা হয়।
Drawing Properties : ওপেন করা কোন ড্রইং এর Properties সেট করে এবং প্রদর্শন করে এই অপশনটি । এই অপশনটি সিলেক্ট করলে নিচের ছবির মতো একটি উইন্ডো আসবে।
এখানে General, Summary, Statistics, Custom নামে চারটি ট্যাব রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের তথ্য পাওয়া যায়।
Exit : এই অপশনের মাধ্যমে অটোক্যাড প্রোগ্রাম থেকে বের হওয়া যায়।

Edit মেনুঃ অটোক্যাড ট্রেনিং লেকচার-৩

অটোক্যাডের দ্বিতীয় মেনুটি হচ্ছে Edit মেনু।  Edit নামের উপর ক্লিক করে অথবা কীবোর্ড হতে Alt এবং E কীদ্বয় একসাথে চেপে Edit মেনু ওপেন করুন। মেনুর কোন কোন অপশনের সাথে শর্টকাট কী দেখানো থাকে যেগুলির সাহায্যে অপশন গুলো অ্যাকটিভ করা যায়। নিচে Edit মেনুর বিভিন্ন অপশন গুলো আলোচনা করা হলো:
Undo : এই অপশনের সাহায্যে সর্বশেষ প্রয়োগকৃত অপারেশনকে ফিরিয়ে আনা যায়। Ctrl + Z কী দুইটি প্রেস করে এই কাজটি সম্পাদন করা যায়।
Redo : পূর্ববতী কমান্ডকে ফিরিয়ে আনার জন্য এই অপশন ব্যবহার করা হয়। Ctrl + Y কী দুইটি প্রেস করে এই কাজটি সম্পাদন করা যায়।
Cut : কোন সিলেক্টেড অবজেক্টকে ক্লিপবোর্ডে ধারণ করে এবং ড্রয়িং থেকে সিলেক্টেড অবজেক্টকে মুছে ফেলে। Ctrl + X চেপেও এই কাজটি সম্পাদন করা যায়।
Copy: কোন সিলেক্টেড অবজেক্টকে ক্লিপবোর্ডে ধারণ করে। Ctrl + C কী দুইটি এক সাথে চেপে কমান্ডটি প্রয়োগ করা যায়।
Copy Link: এই অপশনটি কপি কমান্ডের অনুরূপ। এটি একটি বেস পয়েন্টের সাথে অবজেক্টকে ক্লিপবোর্ডে ধারণ করে।
Paste: এই অপশনের সাহায্যে কপিকৃত কোন অবজেক্টকে ইনসার্ট করা যায়। Ctrl + V চেপেও এই কমান্ডটি প্রয়োগ করা যায়।
Past as Block : এই অপশন ব্যবহার করে কপিকৃত কোন অবজেক্টকে ব্লক হিসেবে ইনসার্ট করা যায়।
Paste as Hyperlink : এই অপশন কোন নির্ধারিত অবজেক্ট এর সাথে হাইপারলিংক পেস্ট করে।
Paste to Original Coordinates: এই অপশন ব্যবহার করে মূল ড্রয়িং এর স্থানাঙ্ক অনুযায়ী কোন অবজেক্টকে পেস্ট করে।
Paste Special : এই অপশনের মাধ্যমে কপিকৃত কোন ডাটা ইনসার্ট করা যায় ডাটা ফরম্যাট নিয়ন্ত্রন করা যায়।
Clear : এই কমান্ড ব্যবহার করে ড্রয়িং থেকে নির্ধারিত কোন অবজেকটকে অপসারণ করা যায়।
OLE Link: এই অপশন চলতি OLE Link কে আপডেট, পরিবর্তন ও বাতিল করে। অটোক্যাড OLE (Object Linking Embedding) সাপোর্ট করে। OLE Link অপশন সিলেক্ট করলে একটি লিংক ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
Find : এই কমান্ড ব্যবহার করে কোন ড্রয়িং এর অভ্যন্তরে যেকোন টেক্সট খুঁজে বের করা যায় এবং উক্ত টেক্সট এর পরিবর্তে নতুন টেক্সট প্রতিস্থাপিত করা যায়। Find অপশন সিলেক্ট করলে Find and Replace নামক ডায়ালগ বক্সটি প্রদর্শিত হয়।

View মেনুঃ অটোক্যাড ট্রেনিং লেকচার-১৪

ভিউ (View) মেনুঃ অটোক্যাডের তৃতীয় মেনুটি হচ্ছে ভিউ (View) মেনু। View নামের উপর ক্লিক করলে অথবা কীবোর্ড হতে Alt + V কী দুইটি এক সাথে চেপে View মেনু ওপেন করা যায়।
নিচে View মেনুর বিভিন্ন অপশনের বর্ণণা করা হলোঃ
Redraw : এই অপশন ব্যবহার করে সকল View port রিফ্রেশ করা হয়।
Regen : এই অপশন চলতি View port কে রিফ্রেশ করে এবং ড্রয়িং রিজেনারেট করে।
Regen All : এই অপশন সকল View port কে রিফ্রেশ করে এবং ড্রয়িং রিজেনারেট করে।
Zoom :  Zoom অপশনের মাধ্যমে কোন ড্রয়িং বা অবজেক্টকে বিভিন্ন উপায়ে Zoom করা হয়। Zoom অপশনের বিভিন্ন সাবমেনু রয়েছে। যেমন- Real time, Previous, Window, Dynamic, Scale, Center, In, Out, All এবং Extents ।
Pan : কোন ড্রয়িং বা অবজেক্টকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করার জন্য  Pan অপশনটি ব্যবহার করা হয়। Pan অপশনের বিভিন্ন সাবমেনু রয়েছে। এগুলো হলো- Real-time, Point, Left, Right, Up, Down ।
Arial View : এই অপশনটি Arial View উইন্ডো প্রদর্শন করে।
View ports : একটি ভিউপোর্টকে একাধিক ভিউপোর্টে বিভক্ত করা এবং একাধিক ভিউপোর্টকে একত্রিত করার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
এই অপশনের বিভিন্ন সাব মেনু রয়েছে। যেমন- Named View ports, New View ports, 1Viewports, 2Viewports, 3Viewports, 4Viewports, Polygonal View ports, Object, এবং Join|
Names Views : এই অপশনটি সিলেক্ট করলে নতুন ড্রয়িং তৈরি করা অথবা র্পর্বে সংরক্ষিত কোন ভিউ Restore করা যায়। এটি সিলেক্ট করলে একটি ডায়ালগ বক্স আসে।
3D Views : এই অপশনের দ্বারা বিভিন্ন ভাবে ত্রিমাত্রিক ভিউ সেট করা যায়। 3D Views মেনুর বিভিন্ন সাব মেনু রয়েছে।
3D orbit : এই অপশনটি 3D তে কোন অবজেক্টের মিথস্ক্রিয়া প্রদর্শন নিয়ন্ত্রণ করে।
Render : কোন ইমেজকে অধিক বাস্তব সম্মত তৈরি করতে Render ব্যবহার করা হয়।
Display : এই অপশনটি UCS আইকন Attribute ও টেক্সট উইন্ডোর প্রদর্শন নিয়ন্ত্রণ করে।
Toolbar : অটোক্যাডের যে কোন টুলবারকে প্রদর্শণ করা, কাস্টমাইজ করা এবং অপসারন করার জন্য এেই অপশনটি ব্যবহৃত হয়।

Insert মেনুঃ অটোক্যাড ট্রেনিং লেকচার-৫

মাইক্রোসফট অফিস এবং অন্যান্য প্রোগ্রামের একটি কমন মেনু হলো ইনসার্ট মেনু। ঐ প্রোগ্রাম গুলোর মতো অনুরূপ কাজ না করলেও কিছু কাজ প্রায় একই রকম করে থাকে। নিচে ইনসার্ট মেনুর বিভিন্ন অপশন গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ইনসার্ট মেনু (Insert Menu): অটোক্যাডের চতুর্থ মেনু হচ্ছে ইনসার্ট মেনু। মাউস দিয়ে মেনু বার এ ইনসার্ট নামের উপর ক্লিক করে অথবা কীবোর্ড থেকে Alt + I কী দুইটি এক সাথে চেপে ইনসার্ট মেনু ওপেন করা হয়। মেনুটি দেখতে নিচের ছবির মতো।
Block: এই অপশন ড্রয়িং-এ ব্লক এবং অন্য কোন ড্রয়িং ইনসার্ট করে। অপশনটি সিলেক্ট করলে ইনসার্ট নামক ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
ডায়ালগ বক্সের Name বক্সে ব্লক বা ড্রয়িং এর নাম সিলেক্ট করে এবং Scale এর জায়গায় X,Y, ও Z এর মান নির্দিষ্ট করে OK বাটনে ক্লিক করলে নির্দিষ্ট ব্লক বা ড্রয়িং ইনসার্ট হয়।
External Reference: চলমান ড্রয়িং- এ অবস্থিত রেফারেন্স সংযুক্ত করতে এই অপশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অপশনটি সিরেক্ট করলে Reference File নামে একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
নির্দিষ্ট ফাইল সিলেক্ট করে Open বাটনে ক্লিক করলে সিলেক্টকৃত ফাইলটি ওপেন হয়।
Raster Image: এই অপশনের মাধ্যমে চলমান ড্রয়িং এ নতুন ইমেজ যুক্ত করা যায়। অপশনটি সিলেক্ট করলে Select Image File নামক একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
নির্দিষ্ট ইমেজ ফাইল সিলেক্ট করে Open বাটনে ক্লিক করলে সিলেক্টকৃত ইমেজটি ওপেন হয়।
Layouts: এই অপশন সিলেক্ট করে ফেজ সেটিং ও প্রিন্টিং ডিভাইস ইনফরমেশন সহ নতুন লে-আউট তৈরি করা যায়। অপশনটির সাবমেনু সমূহ হচ্ছে New Layout, Layout Form Template, Layout Wizard.
3D Studio ঃ থ্রিডি স্টুডিও ফাইল ইম্পোর্ট করার জন্য এই অপশন ব্যবহার করা হয়। অপশনটি সিলেক্ট করলে 3D Studio File Import নামক ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
ফাইল নেম বক্সে কোন ফাইলের নাম নির্দিষ্ট করে Open বাটনে ক্লিক করলে 3D Studio ফাইলটি ওপেন হয়।
ACIS File ঃ এই অপশন ব্যবহার করার মাধ্যমে ACSi ফাইল ইমপোর্ট করা হয়। অপশনটি সিলেক্ট করলে Select ACSi File নামক একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
Drawing Exchange Binary ঃ বিশেষভাবে কোডকৃত বাইনারি ফাইল ইমপোর্ট করতে এই অপশনটি ব্যবহৃত হয়। অপশনটি সিলেক্ট করলে PXB নামক ডায়ালগ বক্স আসে।
Windows Meta file: এই অপশনটি সিলেক্ট করলে Import wmf নামক একটি ডায়ালগ বক্স আসে এবং এর মাধ্যমে Windows Meta file ইমপোর্ট করা যায়।
Encapsulated PostScript: ইনক্যাপসুলেটেড পোস্টস্ক্রিপ্ট ফাইল ইমপোর্ট করতে এই অপশন ব্যবহৃত হয়। অপশনটি সিলেক্ট করলে Postscript File নামক ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
OLE Object:  লিংকি বা এমবেডড অবজেক্ট ইনসার্ট করতে এই অপশন ব্যবহৃত হয়। অপশনটি সিলেক্ট করলে Insert Object নামে একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
Xref Manager: এই অপশন ড্রয়িং ফাইল সমূহে এক্সটারনাল রেফারেন্স নিয়ন্ত্রন করে।
Image Manager: এই অপশনটি বিভিন্ন ফরম্যাটের ইমেজ ইনসার্ট করে। অপশনটি সিলেক্ট করলে ইমেজ ম্যানেজার নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসে।
Hyperlink: কোন গ্রাফিক্যাল অবজেক্টে একটি হাইপারলিংক সংযুক্ত করার জন্য অথবা চলতি হাইপারলিংক মডিফাই করার জন্য Hyperlink অপশনটি ব্যবহৃত হয়। অপশনটি সিলেক্ট করলে Select Object নামে একটি মেসেজ কমান্ড লাইনে আসে । নির্দিষ্ট অপশন সিলেক্ট করে মাউসের রাইট ক্লিক করলে Insert Hyperlink নামক ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়। Ctrl + K কী-দ্বয় চেপেও এই অপশনটিকে কার্যকরী করা যায়।

Format মেনুঃ অটোক্যাড ট্রেনিং লেকচার-৬

অটোক্যাডের পঞ্চম মেনু হচ্ছে ফরম্যার্ট মেনু। মাউস দিয়ে Format লেখার উপর ক্লিক করে অথবা কীবোর্ড থেকে Alt + O কী দুইটি একসাথে চাপলে ফরম্যাট মেনু ওপেন করা হয়। নিচে ফরম্যাট মেনুর বিভিন্ন অপশনের ছবি দেওয়া হলো-
এবার ফরম্যাট মেনুর এই সকল অপশন নিয়ে আলোচনা করছি।
Layer: এই অপশনটি সিলেক্ট করে লেয়ার ও লেয়ার প্রোপার্টিজ ম্যানেজ করা যায়। অপশনটি সিলেক্ট করলে Layer properties manager নামে একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
এই ডায়ালগ বক্সে new, Delete, Current, Show details, Save state, Site manager সহ বেশ কয়েকটি বাটন আছে। উক্ত বাটনগুলো ব্যবহার করে নতুন লেয়ার তৈরি, তৈরিকৃত লেয়ার মুছে ফেলা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ করা যায়।
Color: এই অপশন নতুন অবজেক্টের জন্য কালার সেট করে। Color অপশন সিলেক্ট করলে Select Color নামক একটি ডায়ালগ বক্স আসে।
এখানে তিনটি ট্যাবে তিন ধরণের কালার পাওয়া যাবে। এর দ্বারা লেয়ার এবং ব্লকে আলাদা রঙ দেওয়া যায়।
Line type: এই অপশন অবজেক্টের লাইন টাইপ সেট করে তৈরি করে ও লোড করে। অপশনটি সিলেক্ট করলে Line type Manager নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে।
এই ডায়ালগ বক্স থেকে Load ক্লিক করলে আরও বিভিন্ন স্টাইলের লাইন টাইপ এর তালিকা প্রদর্শিত হয়।
Line weight: এই অপশনের মাধ্যমে লাইনের ওয়েট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। অপশনটি সিলেক্ট করলে Line weight manager নামক একটি ডায়ালগ বক্স আসবে।
Text Style:  Text Style অপশনটি চলতি টেক্সট স্টাইল সেট করে, নতুন স্টাইল তৈরি বা মডিফাই করে। অপশনটি সিলেক্ট করলে Text style নামক ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
Dimension style: এই অপশনটি ডাইমেনশন তৈরি বা মডিফাই করে । অপশনটি সিলেক্ট করলে Dimension Style Manager নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসে।
Plot style: এই অপশন নতুন অবজেক্টেও জন্য চলতি প্লট স্টাইল সেট করে।
Point Style ঃ এই অপশন পয়েন্ট অবজেক্টেও ডিসপ্লে স্টাইল ও আকার নির্দিষ্ট করে। অপশনটি সিলেক্ট করলে Point style নামে একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
Multiline style ঃএই অপশন একাধিক সমান্তরাল রেখার জন্য স্ট্যাটাস ম্যানেজ করে। অপশনটি সিলেক্ট করলে Multiline style নামক একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
Units ঃ এই অপশন ড্রয়িং এর একক টাইপ, দৈর্ঘ্য টাইপ, কোণ টাইপ ও প্রিসিশন সেট করে। অপশনটি সিলেক্ট করলে Units নামে একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
এই অপশন ব্যবহার করে ড্রয়িং এর একক নির্বাচন করা হয়। একক বলতে দৈর্ঘ্যর একক ইঞ্চি হবে না ফিট হবে ইত্যাদি নির্বাচন করা বুঝায়।
Thickness:  এই অপশনটি চলতি ড্রয়িং এর থ্রিডি পূরুত্ব সেট করে।
Drawing Limits: এই অপশন চলতি ড্রয়িং এর বাউন্ডারী সেট করে ও নিয়ন্ত্রণ করে। অটোক্যাডে জায়গার কোন শেষ নেই। আমরা যদি এখানে সমগ্র পৃথিবীর ব্যাসার্ধ এখানে অংকন করতে চাই তাও পারবো। যদি আমরা ড্রয়িং লিমিট স্ট না করি তাহলে এটি দেখতে পৃথিবীর ব্যাসার্ধের সমানই হবে। এই আকারকে ছোট পরিসরে দেখার জন্য ড্রয়িং লিমিট সেট করা হয়।
Rename: এই অপশনটি সিলেক্ট করে কোন অবজেক্টের নাম পরিবর্তন করা হয়। অপশনটি সিলেক্ট করলে Rename নামে একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।

Draw মেনুঃ অটোক্যাড ট্রেনিং লেকচার-৮

অটোক্যাডের সপ্তম মেনু হচ্ছে ড্র মেনু। মাউস দিয়ে Draw নামের উপর ক্লিক করে অথবা কীবোর্ড থেকে Alt + D কী এক সাথে চাপলে ড্র মেনু আসবে। নিচে ড্র মেনুর ছবি দেওয়া হলো-
Line : রৈখিক রেখা অংকন করার জন্য Line অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Ray : সেমি-ইনফিনিট রেখা অংকন করার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Construction Line : অসীম রেখা অংকনের জন্য Construction Line অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Multiline : একাধিক সমান্তরাল রেখা অংকনের জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
Polyline : দ্বি-মাত্রিক পলিলাইন অংকন করার জন্য Polyline অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
3D Polylinet ত্রি-মাত্রিক পলিলাইন অংকন করার জন্য Polyline অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Polygon : সমবাহু বহুভূজ তৈরি করার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Rectangle: আয়তাকার চতুর্ভূজ তৈরি করার জন্য Rectangle অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Arc : বৃত্তচাপ তৈরি করার জন্য Arc অপশনটি ব্যবহৃত হয়। Arc অপশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তচাপ অংকন করা হয়। Arc অপশনের বিভিন্ন সাব অপশন আছে। নিচে Arc অপশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সাব অপশনের ছবি দেওয়া হলো-
Circle : বৃত্ত তৈরি করার জন্য Circle অপশন ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ভাবে বৃত্ত অংকন করার জন্য এই অপশনের বিভিন্ন সাবমেনু রয়েছে। নিচে Circle অপশনের সাবমেনু দেখানো হলো-
Donut : ভরাট সার্কেল, রিং বা চাকা অংকন করার জন্য Donut অপশন ব্যবহার করা হয়।
Ellipse : বিভিন্ন ভাবে উপবৃত্ত বা উপবৃত্তীয় বুত্তচ্‌প অংকন করার জন্য Ellipse অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Block : নতুন ব্লক তৈরি, চলতি ড্রয়িং এর জন্য বেস পয়েন্ট সেট করা এবং অ্যাট্রিবিউট তৈরি করার জন্য Block অপশন ব্যবহার করা হয়। ব্লক অপশনের Make, Base, Define Attribute নামে তিনটি সাবমেনু রয়েছে।
Point : এই অপশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পয়েন্ট বা বিন্দু অংকন করা হয়। সাধারণত সিঙ্গেল পয়েন্ট মাল্টিপল পয়েন্ট, অবজেক্টের দৈর্ঘ্য বা পরিধি নির্দিষ্ট দুরত্বে এবং পরিমাপে পয়েন্ট অপশনের মধ্যে Single Point, Multiple Point, Divide এবং Measure সাবমেনু রয়েছে।
Hatch : এই অপশন প্রয়োগ করে কোন এলাকা পূর্ণ করে হ্যাচ প্যাটার্ণ অংকন করা হয়। এই অপশন সিলেক্ট করলে Boundary নামে একটি  ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
Boundary : এই অপশনটি সিলেক্ট করে একটি পরিবেষ্টিত এরিয়া থেকে একটি বহুভুজ বা ক্ষেত্র তৈরি করে। এই অপশন সিলেক্ট করলে Boundary Creation নামে একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
Region : এই অপশন সিলেক্ট করে একটি নির্দিষ্ট অবজেক্ট সেট হতে Region অবজেক্ট তৈরি করে।
Text : অপশনটি ব্যবহার করে সিঙ্গেল লাইন টেক্সট এবং মাল্টি লাইন টেক্সট লেখা হয়। এই অপশনে Multiline Text, HHW Single Line Text নামে দুইটি সাব মেনু রয়েছে।
Surface : এই অপশনটি সিলেক্ট করে বিভিন্ন ধরনের সারফেস ড্র করা হয়। এই অপশনের অধীনে যে সকল সাব মেনু রয়েছে সেগুলি হলো- 2D Solid, 3D Solid face, 3D Mesh, Edge, 3D Surface, Revolved Surface, Tabulated Surface, Edge surface ।
Solids : Solids অপশন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সলিড অংকন করা হয়। এই অপশনের বিভিন্ন সাব মেনু রয়েছে। নিচে সলিড অপশনের সাব মেনুর ছবি দেওয়া হলো-

Dimension মেনুঃ অটোক্যাড ট্রেনিং লেকচার-৯

অটোক্যাডের অষ্টম মেনুটি হলো ডাইমেনশন মেনু। বিভিন্ন ধরণের পরিমাপ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় যেমন- স্থানাঙ্ক পরিমাপ, কৌণিক পরিমাপ অবজেক্ট বরাবর লিনিয়ার পরিমাপ ইত্যাদি। মাউস দিয়ে Dimension মেনুর উপর ক্লিক করে অথবা কীবোর্ড থেকে Alt + N কী দুইটি একসাথে চেপে ডাইমেনশন মেনুটি ওপেন করা যায়। নিচের Dimension মেনুর বিভিন্ন অপশনের ছবি দেওয়া হলো-
Quick Dimension : দ্রুত কোন কিছুর পরিমাপের জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়। এই অপশনটির মাধ্যমে দ্রুত কোন কিছু পরিমাপ করার জন্য প্রথমে Dimension মেনু থেকে Quick Dimension সিলেক্ট করতে হবে এরপর যে অবজেক্টটি পরিমাপ করতে চান তা সিলেক্ট করে কীবোর্ড থেকে Enter কী চাপতে হবে এরপর মাউস পয়েন্টার উক্ত অবজেক্ট থেকে একটু দূরে সরিয়ে নিন এবং ক্লিক করুন তাহলে নিচের ছবির মতো উক্ত অবজেক্টের পরিমাপকৃত মান দেখা যাবে।


Linear : সরল বা Linear পরিমাপের জন্য এই অপশন ব্যবহার করা হয়।
Aligned : অবজেক্ট বরাবর লিনিয়ার পরিমাপের জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Ordinate : স্থানাঙ্ক মাত্রা পরিমাপের জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Radius :  বৃত্ত বা বৃত্তচাপের ব্যাস পরিমাপের জন্য এই অপশন ব্যবহৃত হয়। বৃত্ত বা বৃত্তচাপের ব্যাস পরিমাপের জন্য প্রথমে একটি বৃত্ত অংকন করুন। এরপর Dimension মেনু থেকে Radius অপশনটি সিলেক্ট করুন। এবার মাউস পয়েন্টার দিয়ে বৃত্তটি সিলেক্ট করুন। তাহলে নিচের ছবির মতো বৃত্তের রেডিয়াস এর পরিমাপটি দেখা যাবে।


Diameter : বৃত্ত বা বৃত্তচাপের ব্যাসার্ধ তৈরির জন্য এই অপশন ব্যবহৃত হয়।
Angular : কৌণিক পরিমাপের জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Baseline : নির্দিষ্ট ডাইমেনশন বা পূর্বের ডাইমেনশনের বেস লাইন থেকে লিনিয়ার বা কৌণিক বা অর্ডিনেট পরিমাপ তৈরির জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Continue : নির্দিষ্ট ডাইমেনশন বা পূর্বের ডাইমেনশনের দ্বিতীয় এক্সটেনশন লাইন থেকে লিনিয়ার বা কৌণিক বা অর্ডিনেট পরিমাপের জন্য Continue টি ব্যবহার করা হয়।
Leader : Leader তৈরির জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Tolerance: জ্যামিতিক Tolerance তৈরির জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Center Mark : বৃত্ত বা বৃত্তচাপের কেন্দ্র তৈরির বা নির্নয়ের জন্য এই অপশনটি ব্যবহৃত হয়। বৃত্ত বা বৃত্তচাপের কেন্দ্র তৈরির বা নির্নয়ের জন্য প্রথমে Circle ড্রইং টুলটি দিয়ে একটি বৃত্ত অংকন করুন। এরপর Dimension মেনু থেকে Center Mark অপশনটি সিলেক্ট করুন। তাহলে কার্সরটি একটি আয়তাকারে পরিণত হবে। এবার তৈরিকৃত বৃত্তটি সিলেক্ট করুন। তাহলে নিচের ছবির মতো একটি বৃত্ত বা বৃত্তচাপের কেন্দ্র দেখা যাবে।
Oblique : লিনিয়ার ডাইমেনশনের এক্সটেনশন লাইনকে Oblique করার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Align Text : লেখা বা টেক্সটকে বিভিন্ন ভাবে সাজানোর জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়। Align Text অপশনটির Home, Angle, Left, Right, Center নামে কয়েকটি সাব অপশন রয়েছে। নিচে Align Text এর সাব অপশনের ছবি দেওয়া হলো-

Style : ডাইমেনশন স্টাইল তৈরি এবং মডিফাই করার জন্য Style অপশনটি ব্যবহার করা হয়। এই অপশনটি সিলেক্ট করার ফলে নিচের ছবির মতো একটি ডায়ালগ বক্স আসবে।

Override : ডাইমেনশন সিস্টেম ভেরিয়েবল ওভার রাইট করতে এই অপশনটি ব্যবহার করার হয়।
Update : ডাইমেনশন আপডেট করার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।

টুলস মেনুঃ অটোক্যাড ট্রেনিং লেকচার-১০

অটোক্যাডের ৬ষ্ঠ মেনু হচ্ছে Tools মেনু। মাউস দ্বারা Tools লেখার উপর ক্লিক করে অথবা কীবোর্ড থেকে Alt + T কী দুইটি একসাথে চেপে টুলস্‌ মেনু ওপেন করা যায়। নিচে টুলস্‌ মেনুর ছবি দেওয়া হলো-
আবার টুলস্‌ মেনুর অপশন গুলো নিয়ে আলোচনা করছি।
Spelling: কোন ড্রয়িং এর ব্যবহৃত টেক্সট এর বানান চেক করার  জন ্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
Quick Select: ফিল্টারিং পদ্ধতিতে দ্রুত সিলেকশন সেট তৈরি করার জন্য এই অপশনটি কাজের অপশনটি সিলেক্ট করলে নিচের ছবির মতো একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শিত হয়।
Display Select: অবজেক্টকে বিভিন্ন ভাবে প্রদর্শনের জন্য অপশনটি ব্যবহার করা হয়। এই অপশনের সাব মেনু গুলো হলো- Bring to, Front, Send to Back, Bring above object এবং Send Under ।
Inquiry: এটি একটি অনুসন্ধান মেনু। অবজেক্টের দূরত্ব, কৌণিক দূরত্ব, ভর, ডাটাবেজ, তথ্য, সময়কাল ইত্যাদি এই অপশন ব্যবহার করে জানা যায়।
Properties: এই অপশনের সাহায্যে অবজেক্টের প্রোপার্টিজ যেমন- কালার, লেয়ার, লাইন টাইপ, স্কেল, ভিউ ইত্যাদি এডিট করা যায়।
AutoCAD Design Center: এই অপশনটি সিলেক্ট করে অটোক্যাড ডিজাইন সেন্টার প্রদর্শিত হয়।
DB Connect: এই অপশনটি ব্যবহার করে বহিঃস্থ কোন ডাটাবেজে টেবিলের সাথে সংযুক্ত করা যায়। ctrl + 6 চেপেও এই অপশনটি কার্যকরী করা যায়।
Load Application: অ্যাপলিকেশন লোড ও আনলোড এবং স্টার্টআপ- এ কোন অ্যাপলিকেশন গুলো লোড হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া যায় এই অপশনের মাধ্যমে। অপশনটি সিলেক্ট করলে Load/Unload Application নামে নিচের ছবির মতো একটি ডায়ালগ আসে।
Run Script: কোন স্ক্রীপ্ট থেকে কমান্ডের ধারাবাহিকতা কার্যকরী করার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করা হয়। অপশনটি সিলেক্ট করলে Select Script File নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসে। এটি দেখতে নিচের ছবির মতো।
উক্ত বক্সে স্ক্রীপ্ট ফাইল সিলেক্ট করে Open বাটনে ক্লিক করলে তা ওপেন হয়।
Macro: অপশনটি VSA Macro কে রান করে। এটি সিলেক্ট করলে Macro নামে নিচের ছবির মতো একটি ডায়ালগ বক্স আসবে।
Alt + F8 কী দুইটি চেপেও এই অপশনটি কার্যকরী করা যায়। এই অপশনের বিভিন্ন সাব মেনু আছে এগুলো হলো- Load Project…., VBA Manager…., Visual Basic Editor ইত্যাদি।
Display Image: এই অপশনটি BMP,TGA, TIFF ইমেজ প্রদর্শন করে এবং ফাইলে রেন্ডার ইমেজ সংরক্ষন করে।

Copy কমান্ডঃ অটোক্যাড ট্রেনিং লেকচার-১১

Copy কমান্ড ঃ
এই কমান্ডের মাধ্যমে একটি অবজেক্টকে কপি করে অনুরূপ আরেকটি অবজেক্টে হিসেবে তৈরি করা যায়। ড্রইং এর সময় একই ধরণের অবজেক্টকে একাধিক বার ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে কপি কমান্ডের প্রয়োগ করে কাজটি দ্রুত শেষ করা যায়। কপি কমান্ডটি ব্যবহার করার জন্য এটিকে প্রথমে কার্যকর করে নিতে হবে। এই কাজটি তিন ভাবে করা যাবে। একটি । অটোক্যাডের মডিফাই টুলবার থেকে Copy আইকনটি তে ক্লিক করে অথবা মডিফাই মেনু থেকে Copy কমান্ডটি সিলেক্ট করে, অথবা কমান্ড লাইনে Copy লিখে কীবোর্ড থেকে এন্টার কী প্রেস করার মাধ্যমে। কোন অবজেক্ট কপি করার জন্য নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন-
প্রথমে অটোক্যাডের ড্রইং উইন্ডোতে একটি অবজেক্ট (যেমন- লাইন) অংকন করুন। এরপর উপরের যে কোন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে Copy Command টি অ্যাকটিভ করুন। Copy Command টি অ্যাকটিভ হলে কার্সরটি আয়তাকার অবজেক্ট-এ পরিণত হবে। এটি দেখতে নিচের ছবির মতো হবে।
এবার যে অবজেক্টটি কপি করতে চান তা সিলেক্ট করুন। অবজেক্ট সিলেক্ট করার জন্য আয়তাকার কার্সরটি উক্ত অবজেক্টের উপর নিয়ে ক্লিক করুন। সিলেক্ট হলে অবজেক্টটি নিচের  ছবির মতো দেখাবে।
এবার কীবোর্ড থেকে এন্টার কী প্রেস করুন তাহলে কার্সরটি একটি + চিহ্নে পরিণত হবে। এখন মাউসটি এক দিকে সরিয়ে নিয়ে ক্লিক করে বেজ পয়েন্ট নির্ধারণ করুন। এবার মাউসের বাম বোতামে ক্লিক করুন তাহলে নিচের ছবির মতো একটি কপি করা অবজেক্ট দেখা যাবে।
এভাবে একটি অবজেক্টকে কপি করতে হয়।